শুক্রবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১০

বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি রফতানি বন্ধ


27 জুন 2010; শনিবার সকাল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য বন্ধ রয়েছে। জ্বালনি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে সিপিএম সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন (সিটু) পশ্চিমবংগে বনধ এর ডাক দেয়ায় দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ রয়েছে। সকালের দিকে সিটু সমর্থিত শ্রমিকরা ওপারে পেট্রাপোল বন্দরে বিক্ষোভ করে সকাল সন্ধ্যা আমদানি রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয়।
ওপারের পেট্রাপোল বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার এসোশিয়েশনের সাধারন সম্পাদক কার্তিক চ্যাটার্জি জানান, পশ্চিমবংগে সিপিএম সমর্থিত শ্রমিক সংগঠন সিটু বন্ধ পালন করায় স্থানীয় শ্রমিকরা দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে।
কাস্টমস কার্গো সুপারিনটেনডেন্ট তৌহিদুল ইসলাম জানান, পশ্চিমবংগে সিপিএম সমর্থিক শ্রমিকরা বন্ধ ডাকায় সকাল থেকে আমদানি রফতানি বনধ রয়েছে। তবে বাংলাদেশ থেকে স্বল্প পরিসরে কিছু কিছু পন্য রফতানি হলেও তা ভারতীয় পেট্রাপোল বন্দরে আটকে আছে।
ফলে আমদানি ও রফতানিকৃত পণ্যবোঝাই শতশত ট্রাক আটকা পড়েছে দুই দেশের বন্ধর এলাকায়। বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় থাকা ফল, পিয়াজ, রসুন, আদা, মাছ সহ উচ্চ পচনশীল পন্য নস্ট হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে ইতিমধ্যে। পঁচে যাওয়ার আশংকায় পিয়াজ ও ফলের ট্রাকের ওপর থেকে ত্রিপল সরিয়ে বাতাস লাগানো হচ্ছে খোলা আকশের নীচে। ওপারে আটকে থাকা বিভিন্ন গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সহ শিল্প কলকারখানার শিংহভাগ কাঁচামাল সময় মত খালাশ নিতে না পারলে উৎপাদন প্রক্রিয়া মারাত্মক ভাবে ব্যহত হবার আশংকা করছেন ব্যবসায়ীরা।
ভারতে রফতানির অপেক্ষায় শতশত পাট, চট, মাছ, মেহগনি ফল, ঝুট, ঝাটার সলা, মশারীর কাপড় বোঝাই ট্রাক আটকে আছে বেনাপোল বন্দর এলাকায়। উল্লেখ্য গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর ৩ টা পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বন্ধ ছিল।

কোন মন্তব্য নেই: