মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০

বেনাপোল সীমান্তে অজ্ঞাত রোগে ২০ নারী-পুরুষ আক্রান্ত

বেনাপোল, অক্টোবর ২৭ (বাংলার চোখ)- ভারতের পেট্রাপোল সীমান্তের হরিদাসপুর গ্রামের পর এবার যশোরের বেনাপোল সীমান্তে বুধবার দুপুর থেকে ১৮/২০ জন নারী, পুরুষ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়েছে। সীমান্ত এলাকা জুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে ইতিমধ্যে এলাকা ছাড়ার পরিকপনা করছে বলে জানা গেছে। অনেকে বাড়িতে মিলাদ ও তাবিজ , ঝাড় ফুকের ব্যাবস্থা চলছে। এ রোগের কারনে প্রথমে শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাচ্ছে এবং জালা যন্ত্রনা শুরু হচ্ছে। কেউ কেউ শরিরের বিভিন্ন স্থানে চুন ও লাউয়ের দানা বাধছে। সরজমিনে দেখা গেছে বড়আঁচড়া গ্রামের মন্টুর বউ লিলি, আনোয়ারের বউ কাকলি, আলমের স্ত্রী আকলিমা, জাকিরের ছেলে সাকিব, আব্দুল ঘেনার মেয়ে শাপলা, সহ ১০/১২ জন নারী, পুরুষ, শিশু সাবেক এমপি আলীকদরের পুকুরে রোগ নিরাময়ের জন্য ২/৩ ঘন্টা গলা পানিতে দাড়িয়ে আছে। রোগ নিরাময়ের এই পদ্ধতি তারা ভারতের লোকের মুখে শুনেছিল। বেনাপোল পেীর কমিশনার মোস্তাফিজ্জোহা সেলিম জানায়, অজ্ঞাত এই ভয়ানক রোগটি সর্ব প্রথমে গত শুক্রবার বেনাপোল সীমান্তের ওপারে ভারতের পেট্রাপোল হরিদাসপুরে ভারতীয় নাগরিকদের মাঝে দেখা দেয়। সেখানে প্রায় অর্ধশত নারী, পুরুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়। পেট্রাপোল এলাকায় মসজিদ ও মন্দিরে এ রোগ থেকে সতর্ক ও করনীয় সম্পর্কে মাইকিং করতে শুনা গেছে। ভারত থেকে ফিরে আসা পাচপোর্ট য্ত্রাীরা ও একই কথা জানিয়েছেন। পেট্রাপোলের আতি মেম্বার এ ঘটনার সত্যতা শ্বিকার করেছেন। শার্শা উপজেলার নাভরন বুরুজ বাগান হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ জতিস চন্দ্র জানায়, এটা ম্যান্সহিষ্ট্রিরিয়া রোগ। কয়েকদিন বিশ্রামে থাকলে এ রোগ সেরে যাবে।

কোন মন্তব্য নেই: