মঙ্গলবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১০


মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহের নামের তালিকা 



মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করার পর আপনার শিক্ষাজীবনে যে দুটি জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা হলো নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র। এ দুটি জিনিস সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা উচিৎ আপনার জীবনের পরবর্তী ধাপগুলি পাড়ি দেওয়ার জন্য। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এসব কাগজপত্র অনিবার্যভাবেই প্রয়োজন হয়ে পড়ে। তবে এত কিছুর পরও যদি এগুলি আপনার কাছ থেকে হারিয়ে যায় কেমন লাগবে চিন্তা করেছেন? চিন্তা করে চমকিত হওয়ার কিছু নেই। কারণ একটু চেষ্টা করলেই আপনি আবার পেয়ে যেতে পারেন আপনার গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্রগুলো।
নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র উত্তোলনের ক্ষেত্রে তেমন কোনো জটিলতা নেই। পরীক্ষার ফল প্রকাশ হওয়ার এক মাসের মধ্যে বোর্ড থেকে প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র সরবরাহ করা হয়। যার ফলে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র তুলতে পারেন নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে। যেকোনো কারণে যদি আপনার নম্বরপত্র ও প্রশংসাপত্র হারিয়ে যায় বা নষ্ট হয়ে যায় তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে এগুলি পুনরায় উত্তোলনের জন্য। এক্ষেত্রে প্রশংসাপত্র উত্তোলনের জন্য শিক্ষার্থীকে নিজ প্রতিষ্ঠান বরাবর কারণ উল্লেখপূর্বক আবেদন করতে হবে যার মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি আপনার প্রশংসাপত্র পুনরায় ফিরে পেতে পারেন। তবে নম্বরপত্র হারিয়ে গেলে শিক্ষার্থীকে তা পুনরায় উত্তোলনের জন্য নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। প্রথমত শিক্ষার্থীকে এ সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট থানায় পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ পাসের সন এবং বোর্ড উল্লেখপূর্বক একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে ও জিডির এক কপি সংরক্ষণ করতে হবে।
এরপর কোন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় জিডি নং, রোল, রেজিস্ট্রেশনসহ একটি হারানো বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে এবং এ বিজ্ঞপ্তির এককপি সংরক্ষণ করতে হবে।
তারপর শিক্ষার্থীর নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রদত্ত নম্বরপত্রের নকল উত্তোলনের ফরম সংগ্রহ করে তা পূরণ করে প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক সত্যায়িত করতে হবে।
উক্ত ফরমের সঙ্গে দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সত্যায়িত করে সংযুক্ত করতে হবে। এরপর শিক্ষা সচিব বরাবর ফরমে উল্লেখিত হারে ব্রাংক ড্রাফট করতে হবে এবং রশিদ সংগ্রহ করতে হবে।
জরুরি ক্ষেত্রে অতি দ্রুত নম্বরপত্র পেতে চাইলে শিক্ষার্থীকে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ব্যাংক ড্রাফট করতে হবে ও তার সঙ্গে পত্রিকার বিজ্ঞপ্তির ফটোকপি, জিডির কপি, ব্যাংক রশিদ, নম্বরপত্র উত্তোলনের ফরমসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরাসরি শিক্ষা বোর্ডে প্রেরণ করতে হবে।
এভাবে সব কাজ সম্পন্ন করার পর ১ থেকে ২ মাসের মধ্যে নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীর নম্বরপত্র পেঁৗছে যাবে। তবে শিক্ষার্থী নিজে বোর্ডে গিয়েও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখিয়ে নম্বরপত্র তুলতে পারেন।
যোগাযোগ :
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা।
ফোন-৭১১৭৫৭৪৩, ৯৬৬৯৮১৫
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহী
ফোন- ০৪৩২৫৬৪৬৪
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড চট্টগ্রাম।
ফোন-০৩১-৬৭১২৪৪
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড বরিশাল
ফোন : ০৪৩২৫৬৪৬৪
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সিলেট
ফোন- ০৮২১-৭২৩৭৭২
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর
ফোন-০৪২১-৭৩১৮৬, ০৪২১-৭৩১৮১
 
এই পোস্টটি বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে নেওয়া

কোন মন্তব্য নেই: